একটি জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে দক্ষ মানব সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এ মানব সম্পদ তৈরিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর যৌথ কর্ম প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল একটি জাতি গঠন সম্ভব। বিশ্বজুড়ে দেখা যাচ্ছে,যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। অর্থাৎ জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় উন্নতির মূল চাবিকাঠি শিক্ষা।আমাদের এ দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। এ অর্ধেক জনসংখ্যা আত্মনির্ভরশীল না হলে জাতীয় উন্নতি সম্ভব নয়।আবার আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য চাই শিক্ষা।কারন-শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী করে এবং চিন্তামুক্ত করতে শেখায়।মহাবীর নেপোলিয়ন বলেছেন-তোমরা আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দেব।৫০ বছর আগেই এ মর্মবাণীর মূল্য উপলব্ধি করে কিছু বিদ্যোৎসাহী ব্যাক্তি এলাকার পশ্চাৎপদ মেয়েদের শিক্ষিত করার লক্ষ্য ১৯৬৬ সালে খাদেমুল ইসলাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে উচ্চতর শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে উচ্চ ম্যাধমিক শাখা পর্যন্ত উন্নীত করে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ হয় খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ।এ বিরাট কর্মযজ্ঞের সাথে জড়িত সকলেই আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও নমস্য।বিগত ৫৭বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে ব্যাপক ভাবে নারী শিক্ষার বিস্তার ও নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে।যুগোপযোগী ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রায়োগিক শিক্ষা দিতে আমাদের আছে অত্যাধুনিক এসি কম্পিউটার ল্যাব ও বিজ্ঞান ল্যাব।উচ্চ শিক্ষিত,মানসম্পন,অভিজ্ঞ ও যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ছাত্রীদের সর্বোচ্চ মেধা বিকাশের সহায়তায় নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন।আর এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরাও সব ধরনের পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে।এখান থেকে বেরিয়ে তারা প্রকৌশলী,ডাক্তার,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সরকারি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মকতা কর্মচারী রূপে সুপ্রতিষ্ঠিত।এদের সবাইকে নিয়ে আমরা গর্বিত।সূচনালগ্ন থেকে অদ্যাবধি যাঁরা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বুদ্ধি - পরামর্শ,সাহায্য - সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তাঁদের আমরা জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। ছাত্রীদের গৌরবোজ্জ্বল ও সুন্দর ভবিষ্যতসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ,কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সুদীর্ঘ সুন্দর জীবন কামনা করি। খাদেমুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হোক এ প্রার্থনা করি পরম করুনাময়ের কাছে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক
রতন কুমার মন্ডল